কুষ্টিয়ায় সরকার অনুমোদিত মৃত্তিকাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়োগ বাণিজ্য, টাকা আত্মসাৎ ও জমি দখলের অভিযোগ তুলে অপসারণ চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয়রা। তবে অভিযুক্তদের দাবি, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
কুষ্টিয়া সদরের মৃত্তিকাপাড়া দাখিল মাদ্রাসা ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। শুরু থেকেই এখানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন হামিদুর রহমান। পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচন না দিয়ে তাকে সভাপতি রেখেই বারবার অ্যাডহক কমিটি পাস করিয়ে আনেন মাদ্রাসা সুপার ফয়জুল্লাহ অর রশিদ। এদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ ও জমি দখলের অভিযোগ এলাকাবাসীর।
মৃত্তিকাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের স্বেচ্ছাচারিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শিক্ষকরাও জানেন না মাদ্রাসার কোনো তথ্য।
এদিকে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এলাকাবাসীর মধ্যে। সভাপতি-সুপারের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তারা।
তবে মাদ্রাসাটি সভাপতি হামিদুর রহমান ও সুপার ফয়জুল্লাহ অর রশিদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আর কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ জানান, অ্যাডহক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ ধরে রাখতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করার দাবি জানান এলাকাবাসী।